Friday, February 3, 2017

আই ল্যাশ গজানো ও বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় , জেনে নিন


আই ল্যাশ গজানো ও বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় , জেনে নিন




আই ল্যাশ গজানো, বৃদ্ধির

আই ল্যাশ গজানো ও বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় , জেনে নিন

আমাদের মাথার চুলের মতই আই ল্যাশও একটি নির্দিষ্ট নিয়মে ও হারে বেড়ে থাকে। মাশকারা,

কাজল, আই লাইনার ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে আই ল্যাশ পড়ে যেতে থাকলে, তা পুনরায় গজানোর

অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা । আমাদের আই ল্যাশ এর দৈর্ঘ্য ও স্বাস্থ্য যদিও

জেনেটিক্স দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে, তবুও আই ল্যাশ গজানো ও বৃদ্ধির জন্য আছে কিছু প্রাকৃতিক

উপায় ।

ভিটামিন এইচ ( বায়োটিন )

ভিটামিন এইচ ( বায়োটিন ) চুল কে স্ত্রেইট রাখতে ও চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । ভিটামিন এইচ একটি বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন যা অনেক কস্‌মেটিক্স প্রোডাক্ট ও খাদ্যেও পাওয়া যায় । পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন টি বাদাম, কলা , ডিমের কুসুমে পাওয়া যায় । ডিমের সাদা অংশে থাকে এভিডিন নামক প্রোটিন, যা ভিটামিন এইচ শোষণে সাহায্য করে ।

অ্যান্‌টিঅক্সিড্যান্‌ট

দুটি অ্যান্‌টিঅক্সিড্যান্‌ট ভিটামিন, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’ স্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথ এর জন্য অনেক প্রয়োজনীয় । ভিটামিন সি এর অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে যায় ও চুলের আগা ফেটে যায় । এছাড়াও ভিটামিন সি, ফ্রি র‍্যাডিকেল এর আক্রমণ থেকে চুল কে রক্ষা করে । ভিটামিন ই স্কাল্প সার্কুলেশন বাড়ায় । সবুজ শাক সবজিতে এই ভিটামিন গুলো থেকে থাকে ।

অলিভ অয়েল/ ক্যাস্টর অয়েল

ঘন ও দীর্ঘ ল্যাশ পেতে ,প্রতি রাতে অল্প পরিমাণে অলিভ / ক্যাস্টর অয়েল আই ল্যাশ এর গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন । ১ অথবা ২ মাসের মধ্যেই নতুন আই ল্যাশ গজাতে আরম্ভ করবে । এছাড়াও অলিভ অয়েল আপনার আই ল্যাশ এর জন্য কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে ।

ভ্যাসলিন

অলিভ অয়েল/ ক্যাস্টর অয়েল এর বদলে প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আই ল্যাশ এর গোঁড়ায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিতে পারেন । সারারাত এভাবে রাখতে পারেন অথবা আপনি চাইলে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন । কিছু সপ্তাহের মধ্যেই ফল পাবেন ।

ডায়েট

প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার আই ল্যাশ এর বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় । মাছ , ডিম , বিন ইত্যাদি আই ল্যাশ এর বৃদ্ধিকে সহায়ক।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে চোখের যত্ন :

১) টি-ব্যাগ :
একটি বাটিতে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে , তাতে কয়েক মিনিটের জন্য টি ব্যাগ ভিজিয়ে নিন ।এবার টি ব্যাগটি আপনার চোখের
উপর দিয়ে রাখুন এবং উষ্ণ না হওয়া পর্যন্ত রিল্যাক্স করুন । এটি আপনার চোখে সতেজ ভাব আনবে ।

২) আমন্ড অয়েল :
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে  চোখের চারিদিকে ধীরে ধীরে  আমন্ড অয়েল ম্যাসাজ করুন । সকালে স্কিনের সফ্টনেস নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন ।

৩) গোলাপ জল :
আপনার সাথে সবসময় গোলাপ জলের স্প্রে রাখতে পারেন। চেহারার  ক্লান্তি ভাব কাটাতে আপনার মুখে গোলাপ জল
স্প্রে করতে পারেন । ক্লান্তি ভাব অনেকটাই কমে যাবে অথবা, গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে আপনার চোখের চারপাশে অ্যাপ্লাই করতে পারেন ।

৪) আমলা :
আমলা তে থাকে ভিটামিন সি , যা চোখের জন্য উপকারী । আপনার খাদ্য তালিকায় আমলা অন্তর্ভুক্ত করুন অথবা পানিতে আমলা ভিজিয়ে রেখে ঐ  পানি চোখ  ক্লিনসিং এ  ব্যবহার করতে পারেন ।

প্রতিদিনর করনীয় কিছু টিপস :

১) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান ।

২) ভিটামিন ‘ এ ‘ ও ‘ সি ‘ যুক্ত খাবার ( যেমন গাজর , পেঁপে , আমন্ড , মাছ ইত্যাদি ) প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৩) বেশি বেশি পানি পান করুন ।

৪) চোখ কখনও আঙ্গুল দিয়ে ঘষবেন বা চুলকাবেন না । এক্ষেত্রে পাতলা, নরম কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।

৫) আমাদের চোখ এবং চোখের চারপাশের স্কিন অনেক ডেলিকেট , তাই সবসময় ভালো ভাবে জেনে ও সতর্কতার সাথে চোখের জন্য প্রোডাক্ট বাছাই করুন ।

৬)  চোখে মেকাপ লাগানো অবস্থায় কখনও ঘুমাবেন না । চোখে ইনফেকশন হতে পারে ।

৭) একাধারে অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার স্ক্রিন এর সামনে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর । তারপরও যাদের কে থাকতে হয়, তারা আই স্পেশালিষ্ট এর পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ সাথে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তীতে চোখ শুকিয়ে যাওয়া, চোখে লালচে ভাব আসা , চোখে চুলকানি হওয়ার মত সমস্যা না হয়।

Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home