রসগোল্লা তৈরির সবচাইতে সহজ রেসিপি
রসগোল্লা তৈরির সবচাইতে সহজ রেসিপি
রসগোল্লা বানাবো ঘরে !!! আমরা অনেকেই এটা চিন্তাও করতে পারিনা। কিন্তু আপনি যদি জানেন এটা বানানো কতোটা সহজ তাহলে মিষ্টির দোকানে যাওয়ার আগে একবার হলেও ভাববেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে। তাহলে জেনে নিই রসগোল্লা বানানোর সহজ রেসিপি।
উপকরণ:
-লিকুইড দুধ -১ লিটার-সিরকা/লেবুর রস-২থেকে ৩ টেবিল চামচ ( সমপরিমান পানি দিয়ে মিলানো ) ( লেবুর রস হলে পানি মিশাতে হবে না এবং রস বের করে ছেকে নিতে হবে এবং ২ টেবিল চামচের মত লাগতে পারে )
-ময়দা-১/২চা চামচ
-চিনি-১/২ চা চামচ
সিরার জন্য
-১কাপ চিনি
-৪ কাপ পানি( অনেকে ৩ কাপ ও নেয় তবে আমি মনে করি যারা নতুন তারা এই পরিমান নিলেই ভালো করবে।)
-এলাচ- ২/৩টা
একটি ছড়ানো পাতিলে চিনি পানি আর এলাচ নিয়ে চুলায় অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে চিনি আর পানিটা মিশিয়ে দিতে হবে মিশে গেলেই চুলা বন্ধ করে রাখতে হবে।
প্রক্রিয়া
১) দুধ জ্বাল দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে নাড়তে হবে যাতে পাতিলের নিচে না লাগে।
২) দুধে বলক আসলে ( ফুটে উঠলে) পাতিল নামিয়ে ৫থেকে ১০ সেকেন্ড পর একটু একটু করে সিরকার মিশ্রন ছড়িয়ে দিতে হবে, এবং নেড়ে দিতে হবে,
৩) যখন দুধ ছানা হয়ে যাবে এবং পানিটা সবুজাভ হবে তখন পাতিলটাকে প্রায় ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে।
৪) পাতিল যখন প্রায় ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন ছানার পানি ঝরিয়ে একটা সুতির পাতলা কাপড়ে নিতে হবে।এবং কলের নিচে একটা ঝাঝরি এর উপর ছানার কাপড়টা রেখে পানি দিয়ে ছানাকে নেড়ে নেড়ে ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে ছানাটা ধুয়ে নিতে হবে।
৫) এবার পুটলিকে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি যতটুকু বের করা যায় করতে হবে।তারপর ঝুলিয়ে রাখতে হবে পানি ঝরার জন্য।
৬) ১/২ ঘন্টা পর ছানার পুটলি টাকে আবার চাপ দিয়ে দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে, আবার ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৭) আবার ১/২ ঘন্টা পর পুটলিটাকে আগের মত চেপে চেপে পানি যতটুকু সম্ভব বের করে, ছানাটা একটা ছড়ানো প্লেটে রাখতে হবে ৫ থেকে ১০ মিনিট। হাত দিয়ে একটু ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি পানি টা শুকিয়ে নিতে হবে।
৮) ছানাটা খুব নরম থাকবে, (হাত দিয়ে পুরোটাকে একটা বলের মত করা যাবে কিন্তু নরম হবে।)
এবার ছানার সাথে ময়দা ও চিনি দিয়ে হাতের তালু দিয়ে প্লেটের উপর ছানাটা ঘষে ঘষে ছেনে নিতে হবে , ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগতে পারে। ছানার মধ্যে কোনো দলা দলা থাকবে না এবং বল করলে খুব মসৃন বল হবে।
১০) ছানাটা ১২ থেকে ১৩ ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ হাতের উপর নিয়ে প্রথমে হাতের মুঠোতে চেপে চেপে নিয়ে পরে বল করতে হবে, বলের কোথাও একটু হাল্কা ফাটা লাগলে ওই জায়গাটা আঙ্গুল দিয়ে হাল্কা করে মিশিয়ে দিতে হবে। যদি মনে হয় ফাটা বেশি তাহলে আবার ভালো করে ছানতে হবে।
১১) বল করা যখন শুরু করবেন তখন চুলায় সিরা বসিয়ে অল্প জ্বালে রাখবেন। খেয়াল রাখবেন সিরা যাতে ঘন না হয়ে যায় সিরাটা চিনি আর পানি মেশানোর পর যতটুকু পাতলা ছিল ওরকম পাতলা রাখতে হবে।
১২)বল হয়ে গেলে একসাথে সিরাতে ছেড়ে দেবেন এবং ঢাকনা দিয়ে জ্বাল মাঝারি আঁচে রাখবেন। বলক আসলে জ্বাল আরো কমিয়ে দেবেন। মিষ্টি নাড়াচড়া করা যাবে না।
১৩) ১০ মিনিট পর আবার হাফ কাপ পানি দিবেন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। নামানোর আগেও হাফ কাপ পানি দিয়ে দিবেন অর্থাৎ কোনোভাবেই সিরা যাতে ঘন না হয় সেদিকে ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।
১৪) হয়ে গেলো রসের গোল্লা, চেক করার জন্য একটা রসগোল্লা বাটিতে নরমাল ডুবো পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। যদি ডুবে যায় তবে বুঝবেন হয়ে গেছে।
'বাসার বাজার করেছেন তো? বাজার করুন চালডালে - সময় বাচাঁন, খরচ বাচাঁন। সেরা দামে সবকিছু মাত্র এক ঘন্টায়।'
Labels: পিঠাপুলির বাহারি রেসিপি🍛